October 10, 2024, 4:16 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ট্রাম্প, কী জবাব পেলেন?

গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ট্রাম্প, কী জবাব পেলেন?

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের পরিধি বাড়াতে বাড়াতে কানাডার উত্তরপূর্বে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড কিনতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলা হচ্ছে, এ নিয়ে ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে গ্রিনল্যান্ড সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘ব্যবসার-বাণিজ্যের জন্য আমাদের দুয়ার খোলা, বিক্রির জন্য নয়।’

সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে নৈশভোজে ও বৈঠকে ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ কেনার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। প্রায় ২০ লাখ বর্গকিলোমিটারের গ্রিনল্যান্ড দ্বীপটি ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাষিত অঞ্চল। এখানকার অধিবাসীর সংখ্যা ৬০ হাজারও নয়। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন পরিকল্পনায় পানি ঢেলে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডেনমার্কের রাজনীতিকরা। ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘এটা নিশ্চয়ই এপ্রিল ফুল দিবসের কোনো কৌতুক…তবে কি না, এপ্রিল মাস তো পেরিয়ে গেছে সেই কবে!’ এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গ্রিনল্যান্ড খনিজ সম্পদ, বিশুদ্ধ পানি ও বরফ, মাছের মজুদ, সামুদ্রিক খাবার, নবায়নযোগ্য জ¦ালানিশক্তিসহ নানান মূল্যবান সম্পদে ভরপুর। রোমাঞ্চকর পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গ্রিনল্যান্ড সুপরিচিত। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য আমাদের দরজা খোলা, কিন্তু বিক্রির জন্য নয়।’ সেপ্টেম্বরের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডেনমার্ক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে সফরকালে ডেনমার্ক সরকারের সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে গ্রিনল্যান্ড কেনার বিষয় রয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত গ্রিনল্যান্ড দ্বীপটি ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত। বরফাচ্ছাদিত গ্রিনল্যান্ডে কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ঘাঁটি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও খনিজ সম্পদের কারণে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশেরই নজরে রয়েছে গ্রিনল্যান্ড। তবে ট্রাম্পের আগেও যুক্তরাষ্ট্রের আরো দুই মার্কিন প্রেসিডেন্টের নজরে পড়েছিল গ্রিনল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বীপটির কৌশলগত অবস্থান এবং এর খনিজ সম্পদের কারণে ১৮৬০-এর দশকে গ্রিনল্যান্ড কেনার পরিকল্পনা করেছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনের সরকার। কিন্তু তা প্রকাশ্যে আসেনি কখনো। এরপর ১৯৪৬ সালে ডেনমার্কের কাছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১০ কোটি ডলারে দ্বীপটি কেনার প্রস্তাব দেন। এর আগে আলাস্কার একটি অংশের সঙ্গে গ্রিনল্যান্ডের কিছু কৌশলগত অংশ অদলবদল করার পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রুম্যান।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর